বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-১৪ ।। গৌরীপুরে আ.লীগ বিএনপি’র একাধিক প্রাথীর লড়াই জমে উঠেছে


 কমল সরকার,গৌরীপুর ময়মনসিংহ থেকে ঃ
৩য় দফার তফসিলে ঘোষিত আগামী ১৫ মার্চ গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।  নির্বাচনে তিনটি পদে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে  আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ সেলভি’র প্রার্থীতা চুড়ান্ত হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হাসান অনু। অপর দিকে দীর্ঘ সময় লবিং-বৈঠক করে ২৩ ফেব্রুয়ারী জেলা দ্বক্ষিন বিএনপি’র সভাপতি ও নির্বাচনকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহের দায়িত্বপ্রাপ্ত একে এম মোশারফ হোসেন এমপি’র স্বাক্ষরিত  এক চিঠিতে বিএনপি থেকে একক চেয়ারম্যান প্রাথী হিসেবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গৌরীপুর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু (২৬ ফ্রেব্রুয়ারী) ময়মনসিংহে সংবাদ সম্মেলন করে গৌরীপুুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ মকবুল হোসেন খানকে তাদের ভাষায় দলের তৃনমুল একাংশের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা করা হয়। জানা গেছে ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ও পৌর আ.লীগের তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভোটে একক প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী (মটর সাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল হক (তালা)ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাবেয়া ইসলাম ডলি (হাঁস) নির্বাচিত হয়। এর পরও দলের চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হাসান অনু (আনারস). ভাইস চেয়ারম্যান পদে হারুনুর রশিদ পবিত্র (মাইক), মহাজোট প্রার্থী জহিরুল আলম লিটন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেবিকা জাকিয়া সুলতানা শান্তা (প্রজাপতি) প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়ে গেছেন।
এদিকে বিএনপি থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে  ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিলেও শরিবার ২২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কারা দলটির একক প্রার্থী তা নিশ্চিত হয়নি।  এ নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী জেলা দক্ষীন বিএনপি’র সভাপতি ও নির্বাচনকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা মোশারফ হোসেন এমপি’র বাড়িতে বিএনপির একক প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থী আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন  ও মকবুল হোসেন সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ৫ নেতা-কর্মী আহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে। এ সময় দলের অপর চেয়ারম্যান  মনোনয়ন প্রার্থী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামছুল হক সামছুসহ তার সমর্থকরা নিরব ভুমিকা পালন করেন। সংঘর্ষের কারনে ওইদিন বিএনপির একক প্রার্থী নির্বাচনী  প্রক্রিয়া ব্যহত হয়।  বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষনা না  হওয়ায় দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছিল। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী রোববার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি’র একক প্রার্থী হিসেবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ (দোয়াত কলম), ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিয়াউল আবেদীন জিল্লু (টিউবওয়েল) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানজীন চৌধুরী লিলিকে (কলসী) মনোনয়ন দেয়া হয়। (২৬ ফেব্রুয়ারী) ধানসিঁড়ি রেস্তোরার হল রুমে গৌরীপুর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেইনের নেতৃত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে গৌরীপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ  মকবুল হোসেন খানকে দলের তৃনমুলের চেয়ারম্যান প্রার্থী  ঘোষনা করা হয়। এ সময় দলের অপরাপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আজকের খবরের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন বকুল, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি তাজুল ইসলাম খোকন, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহমান বাবুল,ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী নুরুজ্জামান সোহেল, কারিমেল হাকিম মুন্সী শাহীনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যপারে কথা বলতে দলের অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা(উঃ) যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক সামছুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হীরনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় গৌরীপুরে হীরন সমর্থকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।  মুলাকান্দি গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের।  এ ছাড়া বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে হীরনকে মনোনয়ন দেয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কোয়াছম উদ্দিন,যুগ্ম আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম শহীদ,পৌর যুবদলের আহবায়ক সুজিত কুমার দাস, যুগ্ম আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান পলাশ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক  বিল্লাল হোসেনসহ ছাত্রদল যুবদল,শ্রমিক দলের বিভিন্ন পর্য়ায়ের নেতা-কর্মীরা দলের চেয়ারপারসন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের মনোনয়ন দানকারী সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-১৪।। গৌরীপুরে আ.লীগের সেলভি বিএনপি’র হীরন একক চেয়ারম্যান প্রার্থী

কমল সরকার, গৌরীপুর ।।
৩য় দফার তফসিলে ঘোষিত আগামী ১৫ মার্চ গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।  নির্বাচনে তিনটি পদে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে  আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা চুড়ান্ত হয়েছে। দীর্ঘ সময় লবিং-বৈঠক করে ২৩ ফেব্রুয়ারী জেলা দ্বক্ষিন বিএনপি’র সভাপতি ও নির্বাচনকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহের দায়িত্বপ্রাপ্ত একে এম মোশারফ হোসেন এমপি’র স্বাক্ষরিত  এক চিঠিতে বিএনপি থেকে একক চেয়ারম্যান প্রাথী হিসেবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গৌরীপুর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক রাজনৈতিক মাঠের অদম্য লড়াকু সৈনিক আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এরপরও  বিএনপি’র চুড়ান্ত একক প্রার্থীতা নিয়ে  (২৪ ফ্রেব্রুয়ারী) সোমবার সারাদিন দল ও সাধারণ মানুষের মাঝে ছিল নানান বাকবিতন্ডার ফুলঝুড়ি আর সন্দেহের দোলাচল।  এদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ও পৌর আ.লীগের তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভোটে একক প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল হক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাবেয়া ইসলাম ডলি নির্বাচিত হন।
বিএনপি থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে  ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিলেও শরিবার ২২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কারা দলটির একক প্রার্থী তা নিশ্চিত হয়নি। গত ১৭ ফেব্রয়ারি সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী জেলা দক্ষীন বিএনপি’র সভাপতি ও নির্বাচনকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা মোশারফ হোসেনের বাড়িতে বিএনপির একক প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থী আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন ও মকবুল হোসেন সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ৫ নেতা-কর্মী আহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে। এ সময় দলের অপর চেয়ারম্যান  মনোনয়ন প্রার্থী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামছুল হক সামছুসহ তার সমর্থকরা নিরব ভুমিকা পালন করেন। সংঘর্ষের কারনে ওইদিন বিএনপির একক প্রার্থী নির্বাচনী  প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এ নিয়ে (২২ ফেব্রুয়ারী) শনিবার পর্যন্ত বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষনা না  হওয়ায় দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছিল। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী রোববার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি’র একক প্রার্থী হিসেবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিয়াউল আবেদীন জিল্লু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানজীন চৌধুরী লিলিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপির অপরাপর চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ  মকবুল হোসেন খান, জেলা (উঃ) যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক,আজকের খবরের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন বকুল, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি তাজুল ইসলাম খোকন, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহমান বাবুল,ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী নুরুজ্জামান সোহেল, কারিমেল হাকিম মুন্সী শাহীন এখনও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি বলে জানা গেছে। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হীরনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় গৌরীপুরে হীরন সমর্থকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।  মুলাকান্দি গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের। এ ছাড়া হীরনকে মনোনয়ন দেয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কোয়াছম উদ্দিন,যুগ্ম আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম শহীদ,পৌর যুবদলের আহবায়ক সুজিত কুমার দাস, যুগ্ম আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান পলাশ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক  বিল্লাল হোসেনসহ ছাত্রদল যুবদল,শ্রমিক দলের বিভিন্ন পর্য়ায়ের নেতা-কর্মীরা দলের চেয়ারপারসন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের মনোনয়ন দানকারী সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাচনে কাউন্সিলর ভোটে আ.লীগের প্রার্থীতা চুড়ান্ত //বিএনপিতে প্রার্থীতা নিয়ে চলছে দফায় দফায় বৈঠক

  1. কমল সরকার, গৌরীপুর ।।
  2. ৩য় দফার তফসিলে ঘোষিত আগামী ১৫ মার্চ গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।  নির্বাচনে তিনটি পদে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে  আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা চুড়ান্ত হলেও বিএনপি দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করেও তাদের প্রার্থীতা চুড়ান্ত করতে পারছে না।  গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ও পৌর আ.লীগের তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভোটে একক প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল হক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাবেয়া ইসলাম ডলি নির্বাচিত হন।
  3. বিএনপি থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে  ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিলেও শনিবার পর্যন্ত কারা দলটির একক প্রার্থী তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। গত ১৭ ফেব্রয়ারি সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী মোশারফ হোসেনের বাড়িতে বিএনপির একক প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থী আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন ও মকবুল হোসেন সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ৫ নেতা-কর্মী আহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে। ফলে বিএনপির একক প্রার্থী নির্বাচনী  প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। তাই (২ ফেব্রুয়ারী) শনিবার পর্যন্ত বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষনা না  হওয়ায় দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থীরা হচ্ছেন পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ  মকবুল হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ, আজকের খবরের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন বকুল, জেলা (উঃ) যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি তাজুল ইসলাম খোকন, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহমান বাবুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিয়াউল আবেদীন জিল্ল, নুরুজ্জামান সোহেল, কারিমেল হাকিম মুন্সী শাহীন। তাছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানজীন চৌধুরী লিলি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয় একক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপির একক মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন বকুল জানান, উপজেলা ও জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীন  কোন্দল ও প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় সমন্বয়হীনতার কারণে একক প্রার্থী ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই দলীয় একক প্রার্থীতা নিশ্চিত করার জন্য সবাই ঢাকায়  সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এ ব্যাপারে জানতে গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের মোবাইলফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন জানান, আলাপ-আলোচনা চলছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত দলীয় জনমত জরিপে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হীরনের নাম বেশী উচ্চারিত হচ্ছে। হীরন ভক্তদের দাবী হীরনকে দলীয় প্রার্থী দিলে অনায়াসে বিজয় অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। না হয় বিএনপি এ পদটি হারাতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

গৌরীপুরের পল্লীতে পুলিশের উপস্থিতিতে মধ্য যুগীয় কায়দায় চলছে বাড়ী-ঘরে আগুন, গরু-ছাগল, মালামাল লুটপাট আর মারপিট

  1. কমল সরকার,গৌরীপুর।।
  2. ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বালুচড়া,স্বল্প পশ্চিম পাড়া,মিরাকান্দাসহ ৫টি গ্রামে গত ৫দিন যাবত চলছে নিরীহ মানুষের বাড়ী-ঘরে হামলা,ভাংচুর গৃহপালিত পশু থেকে শুরু করে মালামাল লুটপাট,অগ্নি সংযোগ মারপিট। উল্লেখিত ইউনিয়নের বালুচরা গ্রামের সাহেদ আলী ও স্বল্প পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোস্তাকিম মেম্বার বাহিনীর মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পুলিশের সহযোগিতায় হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছে বালুচরা গ্রামবাসী।  জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাতে বালুচরা গ্রামের শাহেদ বাহিনীর প্রধান শাহেদ আলী উপজেলা সদর থেকে বাড়ী যাবার পথে নয়াপাড়া নামকস্থানে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। সেখান থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গৌরীপুর হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী।এই খবরে শাহেদ বাহিনীর সেকেন্ড ইন-কমান্ড  সাহেদ আলীর ২ ছেলে স্বপন-নয়নের নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধিক লোকজন প্রতিপক্ষ মোস্তাকিম মেম্বারের বাড়ী-ঘরসহ তার আত্মীয় স্বজনের প্রায় ১৪টির মত ঘর-বাড়ী ভাংচুর গরু-মহিষ,ধান-চাল ও অন্যান্য মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে ছুটে গিয়ে ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অবস্থার প্রেক্ষিতে ঘটনার পর থেকে সেখানে অতিরিক্ত ১ প্লাটন দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ব্যপারে মোস্তাকিম বাহিনী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত শাহেদ বাহিনীর প্রধান শাহেদ আলীকে (১৮ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে। এদিকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের  ভুমিকা রহস্য জনক বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ পুলিশ বাহিনীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মোস্তাকিম মেম্বার বাহিনী শাহেদ বাহিনীর আত্বীয় স্বজন ও তার পরিবারের জান-মালসহ এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর ক্রমাগত হামলা,লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এই বাহিনী এ যাবত ৮জন নিরীহ গ্রামবাসীকে বেধরক পিঠিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। যারা মোন্তাকিম বাহিনীর বশ্যতা স্বীকার করছে না তাদের শাহেদ বাহিনীর লোক সাঁজিয়ে মারধোর করে পুলিশে সোপর্দ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লুটে নিচ্ছে গুরু-ছাগল,ধান-চাল ঘরের অন্যান্য মালামাল। ( ২০ ফেব্রুয়ারী ) বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশকে সাথে নিয়ে মোন্তাকিম মেম্বার বাহিনী বালুচরা গ্রামে পুনরায় হামলা চালায়। এ সময় হামলা কারীরা শাহেদ আলীর বড় ছেলে নয়নকে ধাওয়া করে ধরে বেধরক পিঠিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাকে গুরুতর আহত  অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নয়নের ভাই স্বপন অভিযোগ করেছে মোস্তাকিম বাহিনী পুলিশের সহযোগিতায় তার ভাইকে ধরে পিঠিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এ সময় মোস্তাকিম বাহিনী বালুচরা গ্রামের বাবুল মিয়ার ২টি, শাহেদ আলীর ২টি,ছাবেদ আলীর ২টি,আফিল উদ্দিনের ৩টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে পুলিশ উভয় পক্ষের লুটকৃত ৬টি গরু উদ্ধার করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিলেও এখনও লুট হওয়া  অসংখ্য গরু-ছাগলের কোন হদিস নেই। ভুক্তভোগী শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী এলাকার শান্তি-শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের তরিৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ ব্যপারে  থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাঈনউদ্দিন বলেছেন,  ২টি গ্রামের বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে  ঘটনা ঘটছে, পুলিশ একদিকে থাকলে অন্য দিকে ঘটনা ঘটে যায়। তবে এই মুহুর্তে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।



ময়মনসিংহের উত্তর জনপদের সেই ১৯ ভাষা সৈনিক আজ আর কেউ বেঁচে নেই

কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
ময়মনসিংহের উত্তর জনপদ গৌরীপুর, শ্যামগঞ্জ, ঈশ্বরগঞ্জ, আঠারোবাড়ী, ফুলপুর,পূর্বধলা এলাকার পুলিশের হুলিয়া মাথায় নিয়ে যে ১৯ জনের নেতৃত্বে এ অঞ্চলে ভাষা আন্দোলন জোরদার হয়েছিল সেই সৈনিকদের কথা কেউ জানে না বা মনে রাখেনি। তাছাড়া দীর্ঘ সময়েও তাদের স্বরন করেনি কেউ।  মায়ের ভাষা প্রতিষ্টা করতে আজ থেকে ৬২ বছর আগে প্রত্যন্ত এ গ্রামীন জনপদে মরনপণ করে যারা আন্দোলন করেছেন তারা অনেকেই দেখে যেতে পারেননি বাঙ্গালীর মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আর তাদের অবদানের মুল্যায়নের ঐতিহাসিক শুভক্ষনটি। ভাষা আন্দোলনের বীর সেনানী প্রথমসারির নেতৃত্বদানকারী ১৯ ভাষা সৈনিকের মাঝে বর্তমানে আর কেউ বেঁচে নেই। এ অঞ্চলের বেঁচে থাকা সর্বশেষ ভাষা সৈনিক আশুতোষ রায় (৮২) ২০১২ সনের  ২৩ জানুয়ারী মারা গেছেন। জীবিত আশুতোষের রায়ের আশা ছিল মরনের আগে যেন  তিনি ও তার অন্যান্য মৃত সহযোদ্ধারা এতটুকু সরকারী স্বীকৃতি পায়। কিন্তু শেষ-মেষ সে আশাও পূরণ হয়নি তার। ১৯৫২সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা লগ্ন থেকেই এ অঞ্চলে তৎকালীন ঈশ্বরগঞ্জ থানার অধীনে গৌরীপুর ছিল আন্দোলনের মুল কেন্দ্রস্থল। গৌরীপুর  থেকেই পরিচালিত হতো  আন্দোলনের সকল সাংগঠনিক কর্ম পদ্ধতি ও আন্দোলনের রূপরেখা। কেন্দীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নির্দেশে ময়মনসিংহের ভাষা সৈনিক রফিক উদ্দিন ভূঞা এমপি,সামছুল হক এমপি, হাতেম আলী এমসি’র নেতৃত্বে গৌরীপুর আরকে হাইস্কুল, রামগোপালপুর পি, জে, কে হাইস্কুল,শ্যামগঞ্জ হাইস্কুল, ঈশ্বরগঞ্জ চরনিলক্ষিযা উচ্চ বিদ্যালয়, বিশ্বেশ্বরী হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠিত করে ভাষার দাবীতে প্রতিদিন মিছিল-মিটিং, পথসভা, পোষ্টারিং, লিফলেট বিতরণ,ধর্মঘটসহ নানমুখী আন্দোলন চালানো হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে গৌরীপুর ও ঈশ্বগঞ্জের ১৯ নেতার নামে তৎকালীন পূর্ববাংলার মূখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন সরকার হুলিয়া জারি করেছিল। তারা হলেন গৌরীপুরের কৃষক প্রজা পার্টির নেতা আঃ ওয়াহেদ বোকাইনগরী এম,এল,এ (মৃত),আঃ কদ্দুছ বোকাইনগরী (মৃত),জমশেদ আলী (মৃত),,আওয়ামী মুসলিমলীগ সভাপতি খালেদুজ্জামান (মৃত),হাতেম আলী মিয়া এম,সি,এ (মৃত), ছাত্রলীগ নেতা ড্াঃ এম,এ সোবহান, (মৃত) আব্দুস সামাদ (মৃত),হায়দার আলী, (মৃত),আমির উদ্দিন (মৃত),ছফির উদ্দিন (মৃত), শ্যামগঞ্জের মোজাহের উদ্দিন (মৃত),বিড়ি শ্রমিক নেতা ইসমাইল হোসেন (মৃত), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক উদ্দিন ফকির(মৃত),কম্যুনিষ্ট নেতা মোঃ আবুল হোসেন (মৃত), জাতীয় কংগ্রেসের দপ্তর সম্পাদক আশুতোষ রায়  (মৃত) ও ঈশ্বরগঞ্জের মুসলেমউদ্দিন খান (মৃত) , সদর মহকুমার আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি আঃ আজিজ মন্ডল (মৃত),আঠারবাড়ীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান (মৃত) প্রমুখ হুলিয়া মাথায় নিয়ে ভাষা আন্দোলনের স্বপক্ষে গ্রামের হাটবাজারে টিনের চোঙা ফুকিয়ে পথসভা,সমাবেশ চালিয়ে গেছেন। এ সময় ভাষা সৈনিকরা কখনো পায়ে হেটে,বা কখনো গরু গাড়ী করে অতিকষ্টে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আন্দোলনের সাংগঠনিক কাজকর্ম চালিয়েছেন। ২১ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী ছাত্র-জনতার মিছিলের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর বর্ররতার খবর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর পরেই ওইদিন বিকালে গৌরীপুরের ছাত্র-জনতা এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। ২৩ ফেব্রুয়ারী গৌরীপুরে ধর্মঘটের ডাক দিলে স্থানীয় আর,কে হাইস্কুলের ছাত্ররা গৌরীপুর-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে ময়মনসিংহের দাঙ্গা পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে রেলপথ মুক্ত করে। এর পর ফেব্রুয়ারীর ২৮-২৯ তারিখে গৌরীপুরের তৎকালীন বাজার ময়দানে (বর্তমানে শহীদ হারুন পার্ক) ইটের পর ইট স্থাপন করে সালু কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। কিন্তু পরক্ষনেই পুলিশ ছুটে এসে তা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এরকম ২দিন একই ঘটনা ঘটায় পুলিশ বাহিনী। এ সময় গৌরীপুরের এম,সি,এ হাতেম আলী মিয়া,খালেদুজ্জামান,আঃ কদ্দুছ বোকাইনগরীকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। প্রায় ৯ মাস কারাভোগের পর তাদের মুক্তি মিলে। বেঁচে থাকতে ঈশ্বরগঞ্জের ভাষা সৈনিক মুসলেহ উদ্দিন খান (৯৯) জাানিয়েছিলেন, ময়মনসিংহ জেলার নাসিরাবাদ হাই মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন ভাষা আন্দোলনে । তখন মনসুর আহম্মদকে সভাপতি ও রফিক উদ্দিন ভুইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়, তিনিও এ কমিটির সদস্য ছিলেন । ১৯৫২ সালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ময়মনসিংহ শহরের বিপিনপার্কে সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্টিত হয় । ওই দিন বিপিন পার্কে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডিবি পুলিশ লাল খা‘র নেতৃত্বে একটি দল মুসলেহ উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করে । এ সময় আরো গ্রেফতার হয় সভাপতি মনসুর আহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক উদ্দিন ভুইয়া, মোঃ হাসিম উদ্দিন ও আব্দুল আজিজ । পরের দিন সকলকে কারাগারে পাঠানো হয় । মুসলেম উদ্দিন জেল থেকেই শুনতে পেলেন ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালানো হয়েছে । এতে সালাম ,রফিক, জব্বার বরকতসহ অনেকেই মারা গেছেন । প্রতিবাদে ময়মনসিংহ শহর কাপঁছিল । এর উত্তাপ জেল খানায় বসেই  পাচ্ছিলেন তারা । ৫ মাস কারাভোগের পর ১৯৫২ সালের জুনে জেল থেকে ছাড়া পায় মোসলেম উদ্দিন । মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন ভাষাসৈনিক মুসলেহ উদ্দিন । ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী তার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয় । জীবিত কালে এ অঞ্চলেব ভাষা সৈনিক  ডাঃ এম এ সোবহান ও মুক্তিযোদ্ধা আশুতোষ রায় স্মৃতিচারণ করে  বলেছিলেন হুলিয়া  মাথায় নিয়ে ভাষার দাবীতে এ অঞ্চলে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল আমরা ২ জন ছাড়া কেউ বেঁচে নেই- আমরাও মত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁঁিড়য়েছি। ওইসময় তারা অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, ঢাকার কেন্দ্রীয় ভাষা সৈনিকদের মুল্যায়ন হলেও গৌরীপুরসহ এ অঞ্চলের ভাষা সৈনিকরা বরাবরই অমুল্যায়িত থেকে গেছে। বেঁচে থাকতে তাদের একমাত্র আশা ছিল জীবিত থাকা অবস্থায় যেন এতটুকু মুল্যায়ন দেখে যেন মরতে পারেন। কিন্তু জীবিতকালীন  ১৯ ভাষা সৈনিকের কেউ দেখে যেতে পারেননি  সরকারীভাবে তাদের স্বীকৃতির  শুভক্ষনটি। এর পরও এলাকাবাসীর আশা দীর্ঘদিন পরে হলেও মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠাকারী মৃতের দেশে চলে যাওয়া এ অঞ্চলের ১৯ ভাষা সৈনিকদের সন্তান-সন্তোতীরা যেন তাদের পিতা-বা অভিভাবকদের সঠিক মুল্যায়ন দেখে যেতে পারে।