কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
সাবেক স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর রহমান ফকির এমপি’র নিদের্শে পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন গ্রেফতার, পৌর আ’লীগের অফিস তছনছ,জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর, পৌর মেয়রসহ পৌর আ,লীগের নেতা কর্মীদের বাসা বাড়ীতে পুলিশি তল্লাশীর প্রতিবাদ ও এমপি বান্ধব ওসির অপসারন দাবীতে (১এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লাগাতার কর্মসূচীর ঘোষনা করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচীর মাঝে রয়েছে, (২এপ্রিল) বুধবার বিক্ষোভ মিছিল, (৩ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচী, (৬ এপ্রিল) রোববার অর্ধদিবস হরতাল, (৭ এপ্রিল) সোমবার পূর্ণদিবস হরতাল। এক্ষেত্রে দাবী মানা না হলে গৌরীপুর অচল করে দেয়ারমত নানান কর্মসূচী ও লাগাতার হরতালের ঘোষনা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভি, পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন সারোয়ার সজির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন,যুবলীগ নেতা মোঃ কামাল হোসেন, মোস্তাকিমসহ যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি দলের তৃনমুলের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরোধীতা করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়ায় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় ডৌহাখলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ আহাম্মেদ মাষ্টারকে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের সমর্থকরা বেদম মারপিটে সংকটাপন্ন আহত করে হাসপাতালে পাঠায়। একইদিন রাতে গৌরীপুর শহরে এমপির সমর্থকদের ধাওয়া করে ২টি দোকান পাটে হামলা চালায় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপ। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিজিবি, সেনা ও পুলিশী টহল জোরদার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। কিন্তু ১৭ মার্চ স্থানীয় এমপি গৌরীপুরে আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে পৌর আওয়ামী লীগ তথা উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপ। এর পর দিন থেকে এমপি সমর্থকরা কলতাপাড়া বাজারে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন তল্লাশী করে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের সমর্থকদের খোজাখুজি করা অব্যাহত রাখে। ২৮ মার্চ বাদ জুম্মা ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর রহমান ফকির এমপি গৌরীপুরে এসে পৌর এলাকায় নির্মিতব্য জাতীয় ৫ নেতার ম্যুারাল স্থাপন কার্যক্রমে তদারকি করছিলেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের নেতা পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সৌজন্য সাক্ষাত করতে এমপির কাছে আসলে এমপি মেয়রের সাথে অসদাচরন করে দ্রুত গাড়ীতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় মেয়রের সাথে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে এমপি গ্রুপের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ২টি মটরসাইকেল ভাংচুরসহ ২ জন আহত ও বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে লাঞ্চিত করা হয়। গুরুত্বর আহত ছাত্রলীগ কর্মী রোমন (২৮) কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত রোমনের চাচা আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে ৯ জনসহ অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গৌরীপুর থানা পুলিশ আসামীদের বাড়ী-ঘরে তল্লাশী ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনকে তার ষ্টেশন রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া পুলিশ একইদিন রাতে তল্লাশীর নামে পৌর আ’লীগ কার্যালয়ের প্রবেশ করে আসবাবপত্র তছনছ, জাতির জনক ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেছে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন সারোয়ার সজির ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের নেতা পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এমপি বান্ধব পুলিশের এ ন্যাক্কারজনক হামলায় প্রতিবাদে (২৯ মার্চ) দুপুরে পৌর আ’লীগ ওসির অপসারনের দাবীতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে (৩০ মার্চ) অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয়। কিন্তু স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের আপোষ-নিঃস্পত্তির আশ্বাসে উল্লেখিত কর্মসূচী স্থগিত করে পৌর আওয়ামী লীগ । এক্ষেত্রে ঘটনার ৩দিনের মাঝে কোন প্রকার নিঃস্পত্তির আলামত না পেয়ে পৌর আ”লীগ নেতৃবৃন্দ গৌরীপুর অচল করে দেয়ার জন্য পুনরায় উল্লেখিত লাগাতার কর্মসূচী ঘোষনা করেছে।
সাবেক স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর রহমান ফকির এমপি’র নিদের্শে পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন গ্রেফতার, পৌর আ’লীগের অফিস তছনছ,জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর, পৌর মেয়রসহ পৌর আ,লীগের নেতা কর্মীদের বাসা বাড়ীতে পুলিশি তল্লাশীর প্রতিবাদ ও এমপি বান্ধব ওসির অপসারন দাবীতে (১এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লাগাতার কর্মসূচীর ঘোষনা করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচীর মাঝে রয়েছে, (২এপ্রিল) বুধবার বিক্ষোভ মিছিল, (৩ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচী, (৬ এপ্রিল) রোববার অর্ধদিবস হরতাল, (৭ এপ্রিল) সোমবার পূর্ণদিবস হরতাল। এক্ষেত্রে দাবী মানা না হলে গৌরীপুর অচল করে দেয়ারমত নানান কর্মসূচী ও লাগাতার হরতালের ঘোষনা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভি, পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন সারোয়ার সজির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন,যুবলীগ নেতা মোঃ কামাল হোসেন, মোস্তাকিমসহ যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি দলের তৃনমুলের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরোধীতা করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়ায় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় ডৌহাখলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ আহাম্মেদ মাষ্টারকে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের সমর্থকরা বেদম মারপিটে সংকটাপন্ন আহত করে হাসপাতালে পাঠায়। একইদিন রাতে গৌরীপুর শহরে এমপির সমর্থকদের ধাওয়া করে ২টি দোকান পাটে হামলা চালায় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপ। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিজিবি, সেনা ও পুলিশী টহল জোরদার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। কিন্তু ১৭ মার্চ স্থানীয় এমপি গৌরীপুরে আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে পৌর আওয়ামী লীগ তথা উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপ। এর পর দিন থেকে এমপি সমর্থকরা কলতাপাড়া বাজারে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন তল্লাশী করে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের সমর্থকদের খোজাখুজি করা অব্যাহত রাখে। ২৮ মার্চ বাদ জুম্মা ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর রহমান ফকির এমপি গৌরীপুরে এসে পৌর এলাকায় নির্মিতব্য জাতীয় ৫ নেতার ম্যুারাল স্থাপন কার্যক্রমে তদারকি করছিলেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের নেতা পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সৌজন্য সাক্ষাত করতে এমপির কাছে আসলে এমপি মেয়রের সাথে অসদাচরন করে দ্রুত গাড়ীতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় মেয়রের সাথে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে এমপি গ্রুপের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ২টি মটরসাইকেল ভাংচুরসহ ২ জন আহত ও বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে লাঞ্চিত করা হয়। গুরুত্বর আহত ছাত্রলীগ কর্মী রোমন (২৮) কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত রোমনের চাচা আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে ৯ জনসহ অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গৌরীপুর থানা পুলিশ আসামীদের বাড়ী-ঘরে তল্লাশী ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনকে তার ষ্টেশন রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া পুলিশ একইদিন রাতে তল্লাশীর নামে পৌর আ’লীগ কার্যালয়ের প্রবেশ করে আসবাবপত্র তছনছ, জাতির জনক ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেছে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন সারোয়ার সজির ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের নেতা পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এমপি বান্ধব পুলিশের এ ন্যাক্কারজনক হামলায় প্রতিবাদে (২৯ মার্চ) দুপুরে পৌর আ’লীগ ওসির অপসারনের দাবীতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে (৩০ মার্চ) অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয়। কিন্তু স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের আপোষ-নিঃস্পত্তির আশ্বাসে উল্লেখিত কর্মসূচী স্থগিত করে পৌর আওয়ামী লীগ । এক্ষেত্রে ঘটনার ৩দিনের মাঝে কোন প্রকার নিঃস্পত্তির আলামত না পেয়ে পৌর আ”লীগ নেতৃবৃন্দ গৌরীপুর অচল করে দেয়ার জন্য পুনরায় উল্লেখিত লাগাতার কর্মসূচী ঘোষনা করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন