শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

গৌরীপুরে আ.লীগ আ’লীগের প্রতিদ্বন্দি বিএনপিতে চলছে একই অবস্থা

কমল সরকার,গৌরীপুর ।।

  1. আগামী ১৫ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় আ’লীগের প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ, বিএনপিতেও চলছে একই অবস্থা। ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ও পৌর আ.লীগের তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভোটে একক প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী (মটর সাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল হক (তালা)ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাবেয়া ইসলাম ডলি (হাঁস) নির্বাচিত হয়। এর পরও দলের চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ,আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শরীফ হাসান অনু (আনারস). ভাইস চেয়ারম্যান পদে হারুনুর রশিদ পবিত্র (মাইক), মহাজোট প্রার্থী জহিরুল আলম লিটন (চশমা), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেবিকা জাকিয়া সুলতানা শান্তা (প্রজাপতি) প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়ে গেছেন। এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারী জেলা দ্বক্ষিন বিএনপি’র সভাপতি ও নির্বাচনকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক এমপি একে এম মোশারফ হোসেনের স্বাক্ষরিত  এক চিঠিতে বিএনপি থেকে একক চেয়ারম্যান প্রাথী হিসেবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গৌরীপুর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু (২৬ ফ্রেব্রুয়ারী) ময়মনসিংহে ধানসিড়ি রোস্তোরার হল রুমে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেইনের নেতৃত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে গৌরীপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ  মকবুল হোসেন খানকে ( ঘোড়া) দলের তৃনমুলের চেয়ারম্যান প্রার্থী  ঘোষনা করা হয়েছে। এর পর থেকেই বিএনপি’র প্রতিদ্বন্দি বিএনপি ও আ’লীগের প্রতিদ্বন্দি আ’লীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচন মাঠে প্রতিযোগিতামুলক শোডাউন  চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে জীবিত ঘোড়া প্রতিক নিয়ে প্রতিযোগিতা মুলক শোডাউন করতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতকে জরিমানা দিতে হয়েছে বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ মকবুল হোসেন খানকে। একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প করার অপরাধে  একইদিন জরিমানা দিয়েছেন বিএনপি’র অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন। এর পরও আড়ালে আবডালে নির্বাচনী আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করে প্রায় সকল প্রার্থীই জোড়-শোরে মিটিং-মিছিল, শোডাউন চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে ভোটারদের কাছে একে অপরকে ঘায়েল করার নানা কুটকৌশল আর সমতালে চলছে ভোটার বন্ধনা। এদিকে ৬ মার্চ দলীয় সিদ্ধান্ত লংঘন করায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা আওয়ালীগ থেকে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শরীফ হাসান অনুকে বহিস্কার করা করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ অনেক নেতৃবৃন্দ বলছে কেন্দ্রীয় ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ  কাউকে বহিস্কার করার সাংগঠনিক বৈধতা নেই। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধু ভুষন দাস বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কারাদেশ বৈধ। আবার এদিকে উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ আ’লীগের একক প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভিকে বয়কট করে বিদ্রোহী প্রার্থী শরীফ হাসান অনুকে সমর্থন দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দের ভাষায় ভোট মাঠে সেলভির গ্রহনযোগ্যতা কম থাকায় আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রাখতে প্রার্থী বদলের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই সব মিলিয়ে আ’লীগ ও বিএনপি’র মাঝে চলছে জটিল কুট কৌশল। এ কৌশলে কে হবে উপজেলা চেয়ারম্যান তা বলা যাবে ১৫ মার্চ নির্বাচন শেষে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন