বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৪

গৌরীপুরে গোপন বৈঠক কালে ছাত্র শিবিরের ১৮ নেতা কর্মী গ্রেফতার

কমল সরকার,গৌরীপুর ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে (১৫ অক্টোবর) বিকালে একটি ঘরে গোপন বৈঠক চলাকালে ১৮ শিবির নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় পুলিশওই ঘর থেকে কিশোর কন্ঠ-শিশু মনে কার্টুনের প্রভাব নামক জেহাদী বইসহ, ছুরি ক্রয়,বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের বিল বাউসার উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীরা উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের তাতকুড়া বাজারের পাশে  সত্যেন্দ্র চন্দ্রের বাড়ীর হাফ বিল্ডিং ঘরে বসে গোপন বৈঠক করছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ঘর থেকে উপজেলার ইউছুফাবাদ গ্রামের আঃ আলীর ছেলে উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন (৩৪), নওগা গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম (২০) আঃ সিদ্দিকের ছিলে শিবির নেতা মতিউর রহমান (১৭), ,হায়দারের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (১৫),ফজলুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২২), ,দামগাও গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুজন মাহামুদ (১৫),নন্দীগ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে হৃদয় (১৮),মহিষরন গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আল-আমিন (২৫),শালীহর গ্রামের হারুন-উর-রশিদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (১৭),তাতকুড়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে আবুবক্কর সিদ্দিক (১৮),গুজিখা গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে মোঃ পলাশ (১৭) ও তারাকান্দা উপজেলার বিষকা গ্রামের মোঃ আঃ হাই এর ছেলে শফিকুল ইসলাম সাইফুল (১৯)সহ ১৮ জনেকে আটক করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত  আটককৃতদের পুলিশী  জিঞ্জাসাবাদ চলছিল। পুলিশের ধারনা আটককৃত শিবির নেতা-কর্মীরা সেখানে কোন নাশকতামুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করার গোপন বৈঠক করছিল ।

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৪

গৌরীপুরে আনন্দ বেদনার মধ্য দিয়ে দুর্গা দেবীর বিসর্জন



কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ৪৭টি স্থায়ী-অস্থায়ী পূজা মন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে দিন ব্যাপি যথাযোগ্য মর্যাদা, শান্তিপুর্ন সুষ্টভাবে উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (০৪ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তৎকালীন জমিদারের প্রতিষ্ঠিত সরকারী রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের বিশাল অনন্ত সাগড় দীঘিতে পৌর সভার ১২টি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। বাদবাকী পুজা মন্ডপের প্রতিমা স্ব স্ব ইউনিয়নের নদী ও পুকুরে  বিসর্জন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গৌরীপুরে দুর্গাপূজা চলাকালে আইন শৃংখলা রক্ষায় ৩ শতাধিক আনসার-ভিডিপি সদস্য, গৌরীপুর সরকারী কলেজের বিএনসিসি টিম,  ভ্রাম্যমান পুলিশ টিম সার্বক্ষনিক এলাকায় টহল দিয়েছে। ফলে পুজানুষ্ঠানে শান্তি শৃংখলা বজায়সহ কোন প্রকার অপ্রিতীকর কোন ঘটনা ঘটেনি।  এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুর-রে শাহওয়াজ শহরের পুজা মন্ডপগুলো একাধিকবার পরিদর্শন করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষপুজারীদের সমস্যা খোঁজ-খবর নিয়েছেন। পূজায় সরকারী সহযোগিতা হিসেবে প্রত্যেক পূজা মন্ডপের সভাপতির নামে আধা মেঃ টন চাল বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য এ বছর গৌরীপুর পৌর শহরে ১২টি পূজাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সর্বমোট ৪৭টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

গৌরীপুরে পুরনো বাটকারা-কাঠ বাঁশের দাঁড়ি-পাল্লা’র যথেচ্ছা ব্যবহার ।। ওজন কারচুপিতে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

  •  
  • কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
    ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ওজন কারচুপিতে প্রতিনিয়ত  প্রতারনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ধান-চাল থেকে শুরু করে শাক-সবজি মাছ-মাংস,ভোজ্যতৈল,দুধ,পেট্রোল,কেরোসিনসহ সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচা-কেনায় পরিমাপে দেদারছে ওজন কারচুপি চলছে। জানা গেছে ওয়ান লেভেনের সময় সেনাবাহিনীর অভিযানে দোকান-পাঠের নানাবিধ দ্রব্যাদী পরিমাপের জন্য কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরী করা দাঁড়ি পালস্না,তরল পদার্থ বিক্রির গ্যালন পট ও পুরনো বাটকারা ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের জরিমানা করার পর ব্যবসায়ীরা ভয়ে সঠিক মাপের বাটকারা (পরিমাপক), লোহার নিক্তি পাল্লা  ও তরল পদার্থ বিক্রির লিটার পট ব্যবহার  শুরু করে। কিন্তু সেনাবাহিনীর অভিযানের কিছুদিন পর থেকেই আবার শুরু হয় ওজন পরিমাপের জন্য পুরনো বাটকারা, রেল লাইনের পাথর আর কাঠ-বাঁশের তৈরী দাঁড়ি পাল্লা  পুরনো পদ্ধতির গ্যালন পট ব্যবহার। পাশাপাশি চলে ওজনে কারচুপি করার প্রবনতা।  এক্ষেতে ডিজিটাল ওজন পরিমাপকের মাঝেও রয়েছে ওজন কারচুপির সুকৌশল ব্যবস্থা। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে  ধানের আরতে ধান কেনা-বেচার এক্ষেতে দু’রকমের বাটকারা ব্যবহার হয়ে থাকে। বিক্রেতাদের অভিযোগে জানা গেছে কতিপয় অসাধু  ব্যবসায়ী ধান কেনার সময় নিজেদের তৈরী করা বেশী ওজনের বাটকারা ব্যবহার করে থাকেন। সেখানে ৫/১০ কেজি ওজনের বাটকারার খালি গর্তে  শিশা ভরাট  করে  সুক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধি করা হয়। তাছাড়া (গোখাদ্য) ৩৭ কেজি খৈইল ভুসির বস্তা খুলে তা থেকে ৫/৬ কেজি ভুসি বা খৈইল রেখে দিয়ে নতুন করে সেলাই করা বস্তা ,ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া ৫০ কেজির   সারের ইনটেক বস্তা থেকে (গোঙ্গা মেরে) বিশেষ পদ্ধতিতে  ৫/৬ কেজি সার রেখে দিয়ে একই দরে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।  যা বিক্রেতা সহজে ধরতে পারে না। সবজি মাছ-মাংসের বাজারে পুরনো আমলের বাটকারা  ও কাঠ-বাঁশের তৈরী দাঁড়ি পাল্লা দিয়ে পরিমাপ করায় ক্রেতা সাধারণ ওজন কারচুপির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের শহর আলী  ২শ টাকা কেজি দরে আধাকেজি শুকনো মরিচ ক্রয় করার পর অন্যত্র এর ওজন করে দেখেন ১শ গ্রাম মরিচ কম রয়েছে। আড়াইশ টাকা কেজি দরের হলুদ গুড়া কিনে ৫০ গ্রাম ওজনে কম পেয়েছেন ভালুকার ছাবেদ আলী । এক সেনাবাহিনীর সদস্য সাড়ে ৪শ টাকা দরের ২ কেজি খাসির মাংস কিনে ওজনে কম পেয়েছেন সাড়ে ৩শ গ্রাম। ভুসির ইনটেক বস্তা কিনে ওজনে প্রতারিত হয়েছেন মাছুয়া কান্দা গ্রামের দুধ ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল। প্রতিনিয়িত এমনি ভাবে সকল প্রকার তৈজস পত্র থেকে শুরু করে কাঁচা বাজারে পেয়াজ আলু, মাছ শাকসবজি কিনে কেজিতে ১শ ২শ গ্রাম  থেকে ৪শ গ্রাম পর্যন্ত কম পাচ্ছে সাধারণ ক্রেতা। এক্ষেতে অভিনব কায়দায় ওজন কারচুপি,পুরনো বাটকারা আর কাঠ-বাঁশের দাঁড়ি পালস্নার ব্যবহার রোধে বাজারে কোন তদারকি বা অভিযান না থাকায় এলাকার হাট বাজারে পুরনো বাটকারা ব্যবহার ও ওজন কারচুপির বিষয়টি দিন দিন ব্যপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিজিটাল ওজন পরিমাপক মেশিনে মাইনাস বাটন  টিপে  নাকি দই,মিষ্টি থেকে দামী বিভিন্ন খাবার সামগ্রী বিক্রিতে ওজনে কারচুপি করে থাকেন কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।  তাই অনতিবিলম্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনে বাজারে সঠিক ওজন পরিমাপক পরিবেশ সুষ্টি করতে সংশিস্নষ্ট বিভাগের একটি জোড়ালো আইনি অভিযান পরিচালনা করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

গৌরীপুর রেলেওয়ের ২৮ শতক জমি বেদখল



কমল সরকার,গৌরীপুরঃ
প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় নিজের ক্রয়কৃত জমির সাথে থাকা রেল বিভাগের  ২৮ শতক ভুমি জবরদখল করে নিয়েছেন স্থানীয় এক ভূমি খেকো । ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের অদুরে ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের গাভীশিমুল গ্রামে।
জানা গেছে, গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের অদুরে জারিয়া-মোহনগঞ্জ রেল পথ ও ২ নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন গাভীশিমূল গ্রামের শাহার উদ্দিনের নিজস্ব ৪২ শতক জমি মইলাকান্দা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আঃ বারেকের নিকট বিক্রি করেন। উক্ত ভূমিটি ক্রয়ের পর ভূমি খেকো আঃ বারেক তার ৪২ শতক ক্রয়কৃত ভুমির সাথে থাকা রেল বিভাগের ২৮ শতক ভুমির চারপাশে স্থায়ী ভাবে সিমেন্টের পিলার দিয়ে প্রাচীর গড়ে তুলে জবর দখল  করে নিয়েছেন। রেলের সম্পত্তি দখলদার আঃ বারেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে জায়গাটি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি বলে দাবী করেন। পরে তিনি এক প্রশ্নে বলেছেন উলেস্নখিত পরিমান সম্পত্তি রেল কর্তৃপক্ষের  কাছ থেকে স্থায়ীভাবে বন্দোবস্থ গ্রহন করেছেন। ক্ষেত্রে দখলদার আব্দুল বারেক লিজ সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্রাদী দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে রেলের স্থানীয় আই ডব্লিউ কর্মকর্তা নুরুন্নীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন জায়গাটির লীজ দেয়ার কোন রেকর্ড তার দপ্তরে নেই। অবৈধ দখলদারের প্রশ্নে তিনি বলেছেন উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গৌরীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শ্রী শ্রী রাধা অষ্টমী ব্রত উদযাপিত



সুপক উকিল’গৌরীপুরঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় পৌর শহরে শ্রী শ্রী রাধা রানীর জন্ম তিথী উপলক্ষে পুরহীত পাড়ার নরোত্তম সংঙ্গের উদ্দ্যোগে (০২ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার রাধাব্রত, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, হরি নাম সংকীর্তন ও মঙ্গলশোভা যাত্রার আযোজন করা হয়। এ উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে উপজেলার শ্রী শ্রী রাধা গোপিনাথ জিউর মন্দিরে শুভ অধিবাসের মধ্যদিয়ে শৃরু হয় শ্রীমদ্ভভাগবত পাঠ ও উদয়াস্থ ব্যাপী চলে হরিনাম সংকীর্তন আর মহা প্রসাদ বিতরণ মঙ্গলবার ভোর ৫টা মঙ্গল আরতী শেষে সকাল ১১ টায় রাধা রানীর স্নানের জন্য মন্দির আঙ্গিনা থেকে শতশত রাধাভক্ত হিন্দু নারীরা কলসী নিয়ে নৃত্য-গীত গেয়ে বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা মাধ্যমে ৭ পুকুর ঘাটের ১০৮ কলস  জল সংগ্রহ করা হয়যুগাবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সখী শ্রী রাধা অষ্টমী ব্রত উপলক্ষে বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে গৌরীপুরসহ আশপাশের উপজেলা থেকে শত শত রাধা ভক্ত  নারী-পুরুষ সারাদিন উপবাস করে তাতে অংশ গ্রহন করে। এ উপলক্ষে পুরোহিত পাড়াসহ  আশপাশের পুরো এলাকা এক বিশাল মিলন মেলায় পরিনত হয়ে উঠে। শ্রী শ্রী রাধা গোপিনাথ জিউর মন্দিরের প্রধান সেবক শ্রী অলক রঞ্জন উকিল জানিয়েছেন এ রাধা অষ্টমী ব্রত বৃহত্তর ময়মনসিংহের উত্তর জপদের মাঝে গৌরীপুর উপজেলায় একমাত্র অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

গৌরীপুরে সাবেক স্বাস্থ্য উপ-মন্ত্রী নুরুল আমিন খান পাঠানের ১৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত



কমল সরকার,গৌরীপুরঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কৃতি সন্তান, উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা জাপা নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য উপ-মন্ত্রী নুরুল আমিন খান পাঠান এমপির ( ৭ সেপ্টেম্বর) রোববার  বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে৪তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে  উপলক্ষে মরহুমের একমাত্র ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক,জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও গৌরীপুর উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক ফয়সাল আমিন খান ডায়মন্ড এবং তার  পরিবারবর্গের উদ্যোগে দুটি এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিশুদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলেন আযোজন করা হয়। এছাড়া  ম্রহুমের প্রতিষ্ঠিত খ্যাতিসম্পন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়সহ তার প্রতিষ্ঠা করে যাওয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে মরহুমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, কোনআন খানি, মিলাদ, দোয়া মাহফিল, দরিদ্র ভোজ, স্মৃতিচারন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। উলেস্নখ্য তৎকালীন সময়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আমিন খান পাঠান প্রথমে জাতীয় পার্টি থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। পরবর্তীতে তিনি দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালণ করেন। এ সময়ে তিনি এলাকায় নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদ্রাসা, তালে হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়, শহরবানু উচ্চ বিদ্যালয়, শহরবানু রেজিঃ মহিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি পত্নি বিযোগের কিছুদিন পর  ২০০০ইং সালে’র ৭ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ১ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে উপজেলার ভালুকাস্থ নিজ বাসগৃহে মৃত্যুবরণ করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৪

সাদা মনের মানুষ হতে চায় তানজু



কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
ময়মনসিংহ গৌরীপুর মৎস্য বিভাগের ক্ষেত্র সহকারি মৃত আব্দুল কাদিরের কন্যা ও গৌরীপুর দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি মোঃ রইছ উদ্দিন পত্নির ছোটবোন সুমাইয়া আফরিন তানজু সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।  তানজুর মা মমতাজ বেগম একজন আদর্শ গৃহিনী। তানজু সাদা মনের মানুষ হতে চায়। সে এসএসসিতে সোহাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫, ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি ও ৫ম শ্রেণিতেও বৃত্তি লাভ করে। তার বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া রঙিনচর গ্রামে। তানজু সকলের দোয়া প্রত্যাশী।

গৌরীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধে বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর আহত-১/ হামলার স্বীকার যুবক গ্রেফতার



কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক প্রতিপক্ষ  অপর প্রতিপক্ষের বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে  ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় হামলাকারীদের অস্ত্রাঘাতে ১ জন গুরুতর আহত হয়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে (১৪ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম ভালুকা গ্রামে। জানা গেছে, জমি জমা সংক্রামত্ম বিরোধের জের ধরে ল্লেখিত এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মজিবুর (৪৫) আঃ গনি (৪০),তাজু (৩৫),মজিবুরের ছেলে রাসেল (২২),রাজিব (১৮),আঃ গনির ছেলে রুবেল (২০) ঘটনার দিন সকালে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মৃত দুলাল শেখের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৪০),খোকন (৩০) ও দবির শেখের ছেলে কাদীর শেখের বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় কাদির শেখ ফেরাতে গেলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে  গুরুতর আহত  করা হয়। আহত কাদির শেখকে প্রথমে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।  খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার এসআই মঈন উদ্দিন ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের না পেয়ে হামলার স্বীকার খোকন নামে এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ গ্রেফতারের ঘটনাটি জনমনে চরম ক্ষোভের সুষ্টি করেছে

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

গৌরীপুরে ভোটার প্রনয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে ইসি



কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মঙ্গলবার হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোঃ জাবেদ আলী।
তিনি উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভোটারের ছবি উত্তোলন, নাম ও ঠিকানা, স্বাক্ষর সংগ্রহকালে তা প্রত্যক্ষ করেন। প্রত্যক্ষকালে তিনি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রনয়নে অতি মনোযোগী থাকার নির্দেশ দেন। পরে তিনি উপজেলা সার্ভার স্টেশন পরিদর্শনকালে ভবনের সামনে ঔষুধি বৃক্ষ নিমগাছের চারা রোপন করেন। ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ খুরশিদ আনোয়ার, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুর-রে-শাহওয়াজ, ময়মনসিংহ সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলীমুজ্জামান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুম আলী বেগ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সানাউল হক, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান সরকার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একেএম মুছা, রামগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম শিকদার, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তাগন এ সময় উপস্থিত ছিলেন

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০১৪

গৌরীপুরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য ও আনন্দ উদ্দীপনায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত



কমল সরকার,গৌরীপুর ।।
যথাযোগ্য মর্যাদা,ধমীর্য় ভাবগাম্ভীর্য্য ও আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় পবিত্র ঈদু-উল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।  সকাল সোয়া ১০টায় উপজেলার  প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। এতে ইমামতি করেন  উপজেলার কেলস্না বোকাইনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম। উক্ত ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুল মান্নান, প্যানেল মেয়র নবী নেওয়াজ খান পাঠান,তাতী দল নেতা শাহজাহান কবির হীরা, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌর কর্মচারী, বিভিন্ন সরকারী কর্মকতা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার ২য় বিশাল জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহরের ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদ্রসা মাঠে। এতে ইমামতি করেন পৌর শহরের বড় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা মোস্তাকিম। এ ছাড়া গৌরীপুর সরকারী কলেজ মসজিদ, দাপুনিয়া কেরামতিয়া মসজিদ, ভালুকা জামে মসজিদ, পাছেরকান্দা জামে মসজিদ, নূরপুর গোলকপুর মাদ্রাসা  ও বোকাইনগর নিজাম উদ্দিন (রাঃ) আউলিয়া’র দরগা’র  ঈদগাহ মাঠসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ ও উন্মুক্ত প্রান্তরে প্রায় ৩৫ স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে মসুল্লিরা সকল ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের সাথে বুক মিলিয়ে সোহার্দ্য সম্প্রীতি প্রকাশ করে ব্যপক আনন্দ-উদ্দীপনায় দিবসটি উদযাপন করে। ঈদ উপলক্ষে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর রহমান ফকির এমপি ঈদের দিনসহ গত ৫দিন ব্যাপি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানসহ এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থরের মানুষ এবং  দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০১৪

গৌরীপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ



কমল সরকার,গৌরীপুর
ময়মনসিংহের গৌরীপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকরা বুধবার (১৬ জুলাই) প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও আমাদের সময় প্রতিনিধি মশিউর রহমান কাউসারকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার উপর গত (৪জুলাই) হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে  গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক চত্বরে মানববন্ধন-সমাবেশ করা হয়েছে। এতে গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম মিন্টু সকল সাংবাদিকদের পক্ষে স্থানীয় থানা পুলিশকে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় সম্পৃক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৪৮ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। অন্যথায় তিনি বিক্ষোভসহ নানা কর্মসুচী পালনের ঘোষনা দেন। মানব বন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে আন্যান্যদের  মাঝে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাসারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি কমল সরকার, বেগ ফারুক আহাম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইছ উদ্দিন, ইকবাল হোসেন জুয়েল, আলী হায়দার রবিন, আনোয়ার হোসেন শাহীন, সুবর্ণবাংলার সম্পাদক আজম জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, হুমায়ুন কবীর, কাজী আব্দুল্লাহ আল আমিন, শেখ বিপ্লব, সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ,রির্পোটার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান, সম্পাদক আরিফ আহাম্মেদ, প্রমুখ। উল্লেখ্য ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা  সাংবাদিক কাউসারকে তার মোবাইলে পুনরায় হত্যার হুমকিসহ তারা মটরসাইকেল যোগে শহরে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও রহস্যজনক কারনে পুলিশ তাদের ধরছে না।

রবিবার, ৬ জুলাই, ২০১৪

গৌরীপুরে দুই-শতাধিক পরিবারের বিশাল অর্থ ভান্ডারের প্রতিক প্রকৃতিজন্মা লটকন ফল



কমল সরকার গৌরীপুর ।।
কৃষির উপর নির্ভরশীল বৃহৎ জনগোষ্টীর এলাকা ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর  উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের বিশাল অর্থভাগ্যে খুলেছে মৌসুমী ফল লটকন বিক্রি করে। কোন প্রকার চাষাবাদ ও পরিচর্যা ছাড়াই প্রকৃতিগতভাবে জন্ম নেয়া পুষ্টিগুনে ভরপুর দেশীয় লটকন ফল (বুবি) বাগানের মালিকরা কয়েক দশক ধরে প্রতি মৌসুমে শুধু লটকন ফল বিক্রি করে ঘরে তুলছেন লাখ লাখ টাকা। এ বছর সমগ্র উপজেলায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা মেঃ টন দরে লটকন ল বিক্রি করে  বাগান মালিকদের ঘরে উঠবে প্রায় ৪ কোটি টাকা।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে,পানি জমে না সেই সব উচু স্থানের ঘন ঝোপ-জঙ্গলে ও বাঁশঝাড়ের নিবির ছায়ায় লটকন ফলের (আঞ্চলিক ভাষায় বুবি) গাছ আপন-আপনি বংশ বিসত্মার করে থাকে। বিশেষ করে পাকা লটকন ভক্ষনকারী নিশাচর পশু ও পাখির বিষ্টা থেকেই বেশী বংশ বিস্তার ঘটে লটকন ফল গাছের। চাষীরা জানিয়েছেন,এর বীজ মাটিতে পড়লেই অতি সহজেই চারা গজিয়ে থাকে। এক কালের চাহিদা বিমূখ লটকন ফল কালের আবর্তে এখন সকলের চাহিদা সম্পন্ন ও ব্যাপক অর্থকরী ফল হিসাবে এলাকায় অত্যাধিক গুরুত্ব বহন করছে। ফলে এখন এর সম্প্রসারণ করতে অনেক চাষীই  নতুন করে লটকন ফলের বাগান সৃষ্টি‘র চেষ্টা  চালাচ্ছে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বৃ-বড়বাগ, কিসমত বড়ভাগ,স্বল্প বড়ভাগ,গোবিন্দ নগর, রামজীবনপুর, কাশিমপুর, ইয়ারপুর, অচিন্তপুর ইউনিয়নের খালিজুরী,মখুরিয়া গৌরীপুর সদর ইউনিয়নের কোনাপাড়া, শালিহর, হাটশিরা, মাওহা ইউনিয়নের বীর আহাম্মদপুর, নাহড়া গাগলা,সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি, ঘাটেরকোনা পাছার,লংকাখলা, খান্দার, সিংরাউন্ধ, আমুদপুর রাইশিমূল, ধোপাজাঙ্গালীয়া, ঝলমলা, করমরিয়া, রামগোপালপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামসহ বিচ্ছিন্নভাবে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের  ৮০ হেক্টর  জঙ্গলাকীর্ণ জমিতে ছোট-বড় প্রায় আড়াইশ  লটকন ফলের বাগান রয়েছে। কয়েক দশক ধরে উল্লেখিত গ্রাম গুলোতে লটকন (আঞ্চলিক ভাষায় বুবি) ফল -কৃষি নির্ভর  বিশাল একটি জনগোষ্টির বিভিন্ন ধরনের আর্থিক চাহিদার যোগান দেয়াসহ অনেকের সংসারে এনে দিয়েছে স্বচ্ছলতা, তাদের করেছে অর্থনৈতিক স্বাবলমবী। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,একটি লটকন গাছ কোন প্রকার উৎপাদন ব্যায় ও পরিচর্যা ছাড়াই কয়েক দশক ধরে প্রতি মৌসুমে তার মালিককে গড়ে আড়াই থেকে তিন মন লটকন ফল উপহার দিয়ে আসছে। যার বর্তমান এ মৌসুমে বাজার মূল্কমপক্ষে হাজার টাকা। এরকম প্রকৃতিগতভাবে জন্ম নেয়া প্রতি বাগানে ১শ থেকে ১৫শ লটকন গাছ রয়েছে। লটকন ব্যবসায়ী মোঃ জহির মিয়া জানিয়েছে  উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বৃ-বড়ভাগ গ্রামের আপন বাড়ী’র লটকন বাগানের মালিক শহর বেপারী. মোতালেব, শাহজাহান, রুহুল আমিন, নজরম্নল, কাদির, আকতার,বাবুল আরশেদ আলী এ বছর কয়েক লক্ষ টাকায় তাদের লটকন বাগান আগাম বিক্রি করেছেন। উপজেলার গাগলা গ্রামের ফরাজী বাড়ী’র আজিজুল মিয়া, জানমিয়া, জালাল, জহির, হাতেম আলী মিয়া’র ৫ একরের লটকন বাগান বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষ টাকায়। সহানাটী ইউনিয়নের ঘাটেরকোনা, ভাঙ্গুরহাটী গ্রামে মাষ্টার লুৎফর রহমান,মহববর মাষ্টার, হীরা মিয়া’র ৩ একরের লটকন বাগান বিক্রি হয়েছে তিনক্ষ টাকা। কোনাপাড়া গ্রামের নন্দন ও লালমিয়ার ৭টি গাছের লটকন বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার টাকা, হাটশিরার বাবুল মিয়ার ৫টি লটকন গাছ বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার টাকা, হবি মেম্বার ৫টি গাছ বিক্রি করেছেন ১৪ হাজার টাকায়। এমনি ভাবে বেসরকারী হিসেবে উপজেলা’র ছোট-বড় লটকন বাগান আগাম বিক্রি করে মালিকরা ইতিমধ্যেই ঘরে তুলেছেন প্রায় কোটি টাকা’র মত । এক্ষেত্রে  বিনা পরিশ্রম ও মূলধনবিহীন এ মৌসুমী আয় দেশের অন্যান্য ফসলের  উৎপাদন ব্যয় ও আয়ের সাথে কোন অবস্থাতেই তুলনা করা সম্ভব নয় বলে লটকন বাগানের মালিকরা এক বাক্যে মন্তব্য করেছেন। লটকন ফল পাকার অনেক আগে থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে লটকন ব্যবসায়ীরা দল বেঁধে লটকন প্রসিদ্ধ গৌরীপুর উপজেলায় আসতে  শুরু করে। ব্যবসায়ীরা লটকন গাছে কুড়ি লটকন দেখেই মালিকের কাছ থেকে আগাম টাকায় লটকন বাগান কিনে নেন  দীর্ঘ সময় পর লটকন পাকা ধরলে তা গাছ থেকে নামিয়ে  দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে শুরু করে ব্যাবসায়ীরা। লটকন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এ ফল পরে বাছাই হয়ে ইংল্যান্ড, কাতার, সৌদিআরবসহ নানান দেশে রপ্তানি হয়। এলাকায় সরেজমিনে গেলে লটকন বাগান মালিকরা জানিয়েছেন,তারা প্রতিমৌসুমে লটকন বিক্রির টাকায় মেয়ে’র বিয়ে দেয়াসহ সংসারের  বৃহৎ আর্থিক ব্যয় মিটিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছে, বর্তমান আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে লটকন চাষ সম্প্রসারিত করা হলে এ অঞ্চলে’র চাষীরা শুধু লটকন ফল বিক্রি করেই বহু বহু গুন আয় হতো। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ জানিয়েছেন, গৌরীপুর কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উদ্যোগে ও  বিদেশী রাষ্ট্রের অর্থায়নে গৌরীপুর  হটিকালচার সেন্টার প্রতিবছর লটকন গাছের  কলম এবং লটকন চারা তৈরী করে সাধারন চাষীদের মাঝে  স্বল্প মুল্যে বিক্রী করছে। তাছাড়া নতুন লটকন বাগান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চাষীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়াসহ স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে  লটকন চাষীদেরকে  কীটনাশক ছিটানোর জন্য ২টি ফুটপাম্প মেশিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া খড়া মৌসুমে লটকন বাগানে সেচ দেযার  জন্য চাষীদের মাঝে সেচ যন্ত্র সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে