শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৩

ময়মনসিংহে প্রতিনিয়িত দুর্ঘটনা হলেও বহন করা হচ্ছে ম্যাক্সির ছাদে যাত্রী


মনোনেশ দাস: ময়মনসিংহে প্রতিনিয়িত দুর্ঘটনা হলেও বহন করা হচ্ছে ম্যাক্সির ছাদে যাত্রী । যাত্রী আহত হওয়ার পরও ম্যাক্সির ছাদে বহন করা হচ্ছে যাত্রী। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগায় চলছে এই অবৈধ তৎপরতা। ময়মনসিংহ সদর এবং উপজেলাগুলির সড়কে প্রতিনিয়ত চলছে রেজিস্ট্রেশন বিহীন এবং রেজিস্ট্রেশন মেয়াদউত্তীর্ন ভারতীয় তৈরী আমদানী করা এই যাত্রী বহনকারী যন্ত্র রাস ম্যাক্সি। বাংলাদেশী যানবাহন মেরামতকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে যে সমস্ত ম্যক্সি আমদানী করা হয়েছে তার অধিকাংশই ত্র“টিপূর্ণ ফিটিংস । তাছাড়া ম্যাক্সীর যন্ত্রাংশগুলিও নিন্মমানের। বডি থেকে শুরু করে আকা-বাঁকা চেচিচ, ফ্রন্ট এ্যক্সেল,ডিভারেনস্যাল,চাকার ড্রাম,স্টিয়ারিং বক্স,টায়ারড.পুষরডসহ ইঞ্জিনের হেড,ভাল্ব,রিং,পিষ্টন,কানেন্টিংসহ প্রায় প্রতিটি যন্ত্রাংশই নিন্মমানের। রাবারের চাকাগুলিতে যে পরিমাণ ফাই উল্লেখ করা আছে তার অর্ধেকও পাওয়া যাবে না। নিন্মমানের বডির কারনে আমদানী করার মাত্র কয়েক বছরের মাথায় ভেঙ্গে চুড়ে ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অতি লাভের কথা চিন্তা বিবেচনা করে যারা এ সমস্ত ম্যাক্সী কিনেছিলেন তারা আজ ব্যবসায়ীকভাবে দেওলিয়া হয়ে পড়েছেন। আমদানীকরা ম্রাক্সির অর্ধেকরও বেশী বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। অপরদিকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করা ম্যক্সির অধিকাংশই নিটোল মটরর্স এর মাধ্যমে কিস্তির মাধ্যমে ক্রয় করে ভুক্তভোগীরা। ব্যবহার অনুপযোগী এবং অতিরিক্ত জ্বালানী তেল শোষনকারী এই ম্যক্সি যারা কিনেছেন,তারা ইনভেস্টের টাকা তো উঠাতে পারেননি উপরন্তু নিটল মটরর্সকে পরিশোধ করে চলেছেন কিস্তির টাকা। ম্যাক্সির মালিকরা অভিযোগ করেন, অধিক জ্বালানী ব্যায় এবং লক্কর-ঝক্কর মার্কা এসমস্ত যান ম্যাক্সি ভালো কোন ড্রাইভার চালাতে আগ্রহী নন । একদিকে কিস্তি পরিশোধের চাপ অপরদিকে মেরামত ব্যায়ের অর্থ উঠাতে বাধ্য হয়েই আনাড়ী ড্রাইভার,হেলপার দিয়ে পরিচালিত করতে হচ্ছে এই ম্যাক্সি। ছাদে যাত্রী পরিবহনের কথা স্বীকার করে তারা জানান,সারাদিন ম্যাক্সি সড়কে চালিয়ে যে আমদানী পাওয়া যায়,তার অর্ধেক টাকাই ব্যায় হয়ে যায় জ্বালানী তেল কিনতে। বাকী টাকা আমাদের আমদানী এবং পুলিশ আর সড়কের চাঁদাবাজদের দেওয়া হয়। তখন জীবিকার তাগিদে তারা বাধ্য হয়েই এই অবৈধ কার্যক্রম বেছে নেয়। আমাদের তরফ থেকে ছাদে যাত্রীবহন নিষেধ আছে ।তারপরও তারা এঅবৈধ কাজটি করছে। এ অভিযোগে চাকরী থেকে বিদায় দিলে আমাদের ম্যাক্সি বসে থাকবে । তখন ব্যায় আরো বেড়ে যায়। অর্থাভাবে মেরামত করতে না পারায় অত্রাঞ্চলে বহু ম্যাক্সি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে । তার পরও রয়েছে নিটোল মটর্স এর ঋণ বা কিস্তি পরিশোধের চাপ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন