বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

গৌরীপুরে পথের মাঝে যুবককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

কমল সরকার,গৌরীপুর ‍।। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অজ্ঞাত র্দুবৃত্তরা পথের মাঝে আটকিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের একাউন্টিং শাখার ছাত্র আবু সাঈদ মোঃ রবিন (৩১) নামে যুবকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । ওই যুবকের বাড়ী নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের বুধপাশা গ্রামে। তার পিতার নাম ফারাস উদ্দিন মাষ্ঠার। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে শাহগঞ্জ্ বাজ্্ার থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে গৌরীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা গৌরীপুর-রামপুর সড়কের বীরআহম্মদপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এলকাবাসী ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে বলেছে, শিক্ষিত যুবক রবিন কোন চাকুরী না করে শাহগঞ্জ বাজারে কাপড়ের দোকান করতো। পথচারী লোকজন সুত্রে জানা গেছে ঘটনার দিন রাতে যে স্থানে রবিন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে সেই স্থানে দাঁড়িয়ে সে উচ্চ স্বরে মোবাইলে যেন কার সাথে কথা বলছিল। এর কিছক্ষন পরেই ওই স্থানে বিশাল আগুনের কুন্ডলী দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে আসে। মৃত রবিনের চাচা তোফাজ্জল হোসেন তপন, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল হুদা বাচ্চু‘র দাবী রবিন মোটরসাইকেল যোগে গৌরীপুর উপজেলার শাহগঞ্জ বাজার থেকে আসার পথে রাস্তায় বেড়িকেট দিয়ে ৪/৫জন দুর্বৃত্ত্ব পরিকল্পিত গায়ে পেট্টোল ঢেলে আগুন দিয়ে তাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। মৃতের পরিবারের দাবী হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রবিন মোটরসাইকেল যোগে শাহগঞ্জ বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে শাহগঞ্জ কাপড়েরর দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৫/৬ জনের একটি র্দুবৃত্ত দল রবিনের মটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে জোরপূর্বক মটর সাইকেল থেকে নামিয়ে বীরআহম্মদপুর কুখুয়াখালী ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে রবিনের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা । তার আর্ত চিৎকারের আশপাশের লোকজন ছুটে এসে  পানি ঢেলে আগুন নেভানোর আগেই যুবক রবিনের পুরো শরীর জ্বলসে যায়। তাকে মুমর্ষ অবস্থায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে  ভর্তি করা হয় ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ওইদিন রাতেই অগ্নিদগ্ধ যুবক রবিন মারা যায়। নিহত রবিনের স্ত্রী ও ৯ মাসের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। রবিন ও তার বাবা আ’লীগ সমর্থক। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে বেখৈরহাটি বাজারে গণজাগরণ মঞ্চের সাংস্কৃতিক কর্মী হিসাবে সক্রিয় ছিল রবিন। এ জন্য হত্যার হুমকি দিয়ে রবিন ও তার চাচার মোবাইলে একাধিকারবার ম্যাসেজ দেয়া হয়। ২২ নভেম্বর রবিনকে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে কেন্দুয়া থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেনের মোবাইলেও একটি ম্যাসেজ দেয়া হয়। এসআই সাখাওয়াত হোসেন এ প্রতিনিধির নিকট ম্যাসেজ দেয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন।
বুধবার ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হারুন-অর রশিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সালাহউদ্দিন, ওসি হামিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রোলযুক্ত  প্লাস্টিকের বোতল ও অর্ধপোড়া একটি মোবাইল সেট জব্দ করেছে। এ ব্যপারে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গৌরীপুর থানার ওসি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাটি  পূর্ব শত্রুতা হতে পারে কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন